ত্রিপুরা উত্তর-ভারতের একটি সুন্দর রাজ্য তার সম্পর্কে কিছু অজানা যা জানলে আপনি অবাক হবেন বিস্থারিত?
ত্রিপুড়া উত্তর-ভারতের একটি সুন্দর রাজ্য ।
এখানে রাজত্ব করতেন যথাক্রমে মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্য, রাধাকিশোর মাণিক্য, বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য এবং অনেকই ।
কিন্তু স্বাধিনতার পর রাজ্যটি ভারতের সঙ্গে ১৯৪৯ খ্রিঃ অক্টোবর মাসে মিশে যায়। এই রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গাই হল পাহাড়প্রধান।
পাহাড়গুলি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এই সারিবদ্ধ পাহাড়গুলির মধ্যে অনেক সংকীর্ণ উপত্যকা আছে। এবং রাজ্যের বেশির ভাগ নদীও এর মধ্যে দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে।
এই রাজ্যের দীর্ঘতম নদীটি হল মানু এবং উচ্চতম পর্বতশিখরটি হল বেতলাঙ্গশিব।
তবে এই পাহাড়গুলি খুব বেশি উঁচু নয় এবং পাহাড়গুলির বেশিরভাগ অংশ জঙ্গলে ঢাকা।
ত্রিপুরার চারটি জেলা, পনেরোটি মহকুমা এবং বেশ কত গুলো বিভাগ আছে। আগরতলা হল ত্রিপুরার রাজধানী। ত্রিপুরার মানুষ পাহাড় এবং সমতল দুজায়গাতে বসবাস করে । ত্রিপুরার কৃষকরা সমতলভূমিতে চাল এই আলু , বেগুন, কুমড়ো, ফুলকপি, ও বাঁধাকপি প্রভৃতি সবজি চাষ করেন।
পাহাড়ের অধিবাসিরা এক বিশাল পদ্ধিতিতে চাষ করে, যাকে জুম চাষ বলে। তারা মাটিতে ছোট ছোট গর্ত খোঁড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ এক সঙ্গে গর্ত গুলোতে পুঁতে দেয়। বীজ গুলো বড় হয় এবং বিভিন্ন সময়ে পাকে এবং চাষিরা এগুলো বিভিন্ন সময়ে গোলাতে জাত করে। চাষিরা জুম পদ্ধিতিতে চাল, তিল, ভুট্টা, কুমড়ো, ফুটি, পাট এবং তুলো চাষ করে।
ত্রিপুরার আবহাওয়া অতি মনোরম, গ্রীষ্মকালে খুব গরম পড়ে না আবার শীতকালেও ঠান্ডা বেশি পড়ে না। বর্ষাকালে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ত্রিপুরার গ্রীষ্মকাল হল ফলের সময়। এই সময় প্রচুর পরিমাণে আনারস এবং কাঁঠাল হয়। ত্রিপুরার আনারস সারা ভারতে এবং বিদেশেও খুব জনপ্রিয়।
ত্রিপুরার অনেক গুলি পর্যটন স্থান আছে। উদয়পুরে ত্রিপুরাসুন্দরী এবং ভুবনেশ্বরী মন্দির আছে। মেলাগড়ের রুদ্রসাগরের নীরমহল, বিলোনিয়ার পিলাক এবং কৈলাশহরের ঊনকোটি স্থানটি ত্রিপুরার ঐতিহাসিক স্থান এবং জামপুই পাহাড়। পর্যটকদের আগ্রহের জন্য সিপাহিজোলাতে পবিত্র স্থান আছে। সমগ্র ভারতে এবং বিদেশে থেকেও পর্যটকেরা ত্রিপুরায় ভ্রমণ করতে আসে।
ত্রিপুরার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ এবং মনোরম। গরমকালে বেশি গরম নয়, আর শীতে বেশি ঠান্ডা নয়। বর্ষাকালে ত্রিপুরায় প্রচুর বৃষ্টি হয়।
সবাইকে ধন্যবাদ
আপনাদের মতামতের আশায় আছি ।
আপনাদের ভাললাগা আর ভালবাসা আমাদের কাম।
ত্রিপুরা উত্তর-ভারতের একটি সুন্দর রাজ্য তার সম্পর্কে কিছু অজানা যা জানলে আপনি অবাক হবেন বিস্থারিত?
ত্রিপুড়া উত্তর-ভারতের একটি সুন্দর রাজ্য ।
এখানে রাজত্ব করতেন যথাক্রমে মহারাজা বীরচন্দ্র মাণিক্য, রাধাকিশোর মাণিক্য, বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য এবং অনেকই ।
কিন্তু স্বাধিনতার পর রাজ্যটি ভারতের সঙ্গে ১৯৪৯ খ্রিঃ অক্টোবর মাসে মিশে যায়। এই রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গাই হল পাহাড়প্রধান।
পাহাড়গুলি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এই সারিবদ্ধ পাহাড়গুলির মধ্যে অনেক সংকীর্ণ উপত্যকা আছে। এবং রাজ্যের বেশির ভাগ নদীও এর মধ্যে দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে।
এই রাজ্যের দীর্ঘতম নদীটি হল মানু এবং উচ্চতম পর্বতশিখরটি হল বেতলাঙ্গশিব।
তবে এই পাহাড়গুলি খুব বেশি উঁচু নয় এবং পাহাড়গুলির বেশিরভাগ অংশ জঙ্গলে ঢাকা।
ত্রিপুরার চারটি জেলা, পনেরোটি মহকুমা এবং বেশ কত গুলো বিভাগ আছে। আগরতলা হল ত্রিপুরার রাজধানী। ত্রিপুরার মানুষ পাহাড় এবং সমতল দুজায়গাতে বসবাস করে । ত্রিপুরার কৃষকরা সমতলভূমিতে চাল এই আলু , বেগুন, কুমড়ো, ফুলকপি, ও বাঁধাকপি প্রভৃতি সবজি চাষ করেন।
পাহাড়ের অধিবাসিরা এক বিশাল পদ্ধিতিতে চাষ করে, যাকে জুম চাষ বলে। তারা মাটিতে ছোট ছোট গর্ত খোঁড়ে এবং বিভিন্ন ধরনের বীজ এক সঙ্গে গর্ত গুলোতে পুঁতে দেয়। বীজ গুলো বড় হয় এবং বিভিন্ন সময়ে পাকে এবং চাষিরা এগুলো বিভিন্ন সময়ে গোলাতে জাত করে। চাষিরা জুম পদ্ধিতিতে চাল, তিল, ভুট্টা, কুমড়ো, ফুটি, পাট এবং তুলো চাষ করে।
ত্রিপুরার আবহাওয়া অতি মনোরম, গ্রীষ্মকালে খুব গরম পড়ে না আবার শীতকালেও ঠান্ডা বেশি পড়ে না। বর্ষাকালে এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ত্রিপুরার গ্রীষ্মকাল হল ফলের সময়। এই সময় প্রচুর পরিমাণে আনারস এবং কাঁঠাল হয়। ত্রিপুরার আনারস সারা ভারতে এবং বিদেশেও খুব জনপ্রিয়।
ত্রিপুরার অনেক গুলি পর্যটন স্থান আছে। উদয়পুরে ত্রিপুরাসুন্দরী এবং ভুবনেশ্বরী মন্দির আছে। মেলাগড়ের রুদ্রসাগরের নীরমহল, বিলোনিয়ার পিলাক এবং কৈলাশহরের ঊনকোটি স্থানটি ত্রিপুরার ঐতিহাসিক স্থান এবং জামপুই পাহাড়। পর্যটকদের আগ্রহের জন্য সিপাহিজোলাতে পবিত্র স্থান আছে। সমগ্র ভারতে এবং বিদেশে থেকেও পর্যটকেরা ত্রিপুরায় ভ্রমণ করতে আসে।
ত্রিপুরার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ এবং মনোরম। গরমকালে বেশি গরম নয়, আর শীতে বেশি ঠান্ডা নয়। বর্ষাকালে ত্রিপুরায় প্রচুর বৃষ্টি হয়।
সবাইকে ধন্যবাদ
আপনাদের মতামতের আশায় আছি ।
আপনাদের ভাললাগা আর ভালবাসা আমাদের কাম।
0 Comments