সাজানো গোছানো জীবন ছিল শুরু থেকেই। কিন্তু হ্যাকার হওয়ার পর Rotating Rotor


এতোক্ষনে হইত বুঝেই গেছেন কার কথা বলতে যাচ্ছি  হ্যাঁ Kazi Minher Mohsin Uddin বা Rotating Rotor যেই নামেই চিনে থাকুন না ক্যানো সে একজনই । BD GREY HATS এর Administrator ।  ২০১৫ সালের সর্বশেষ তথ্যমতে জোন-এইচের শীর্ষ ২০টির মধ্যে সাতটি বাংলাদেশী হ্যাকার টিম। তাদের মধ্যে সবার শীর্ষে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস এবং তিনি সুইস ব্যাংক-এর অ্যাকাউন্টও হ্যাক করেছিলেন।  ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২,৪:২৩ মিনিটে এনোনিমাসের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে Rotating Rotor-এর নাম প্রকাশ করেন ।

আজ তিনি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন । সেটাই দেখাবো ঃ

সাজানো গোছানো জীবন ছিল শুরু থেকেই। কিন্তু হ্যাকার হওয়ার পর থেকেই বাউন্ডূলে জীবনযাপনে অভ্যস্ত।
পৃথিবী দেখার শখ জাগলো একদিন, পিসির সামনে বসলেই শত শত ক্রেডিট কার্ড তার হাতে।
যখন মানুষ অর্থের পাহাড় বানানোর সুত্র খুঁজছে, ততদিনে সে পাহাড়ের চুড়োয়। কিন্তু সেই রাশিয়ান হ্যাকারের অর্থ প্রয়োজন ছিল না, তার প্রয়োজন ছিল শুধু এক বোতল ভদকা প্রতি রাতে, সেই এক বোতল ভদকা তার এবাদত।
বের হয়ে গেলো একদিন সাইবেরিয়া দেখতে, ঘুরতে।
যে অর্থ সবাই লুকিয়ে রাখে, সেই অর্থ আকাশে মেঘের মতো উড়িয়ে দিতে।
তার শেষ দেখা পাওয়া গিয়েছিল বেলারুশে, সেই সময়ে যখন স্ট্যালিনের কিছু স্থাপনা দেখতে গিয়ে প্রকৃতির সাথে ভালোবাসার বন্ধন আরও বেশী গাঢ় হয়।
রাশিয়া হতে ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ে চড়ে চলে যায় সাইবেরিয়া।
ট্রেন চলতে থাকে পাহাড়ের মাঝে, নদীর পাশে। ট্রেন হতে বসে বসে ছবি তুলে http://goo.gl/ldF9lj
বাতাসে বরফের গন্ধ, পাহাড়ের গন্ধ।
সেই মাটির গন্ধ, যে মাটি হতে সে এসেছে আবারো সেই মাটিতেই একদিন মিলিয়ে যাবে।
গন্তব্যে একটু ছুটি পেয়ে পাহাড়ে উঠে মোবাইলটা আবারো বের করে মিলিয়ে দেখার চেস্টা করে সেই ছবিটার সাথে যা সে গুগুল ম্যাপে সেভ করে রেখেছিল https://goo.gl/kC41sh
মুচকি হাসে নিজে নিজে, গুগল ম্যাপে যা দেখেছিল সেই স্থানেই সে দাঁড়িয়ে।
ঘরে থাকতে হাতে থাকতো স্মার্টওয়াচ, আই রোবট রুমবা নামের রোবট ভ্যাকিউম ক্লিনার নিজে নিজেই বাসা পরিস্কার করে দিতো, গুগল ফিট সবসময় তাকে জানিয়ে দিত তার শরীরের জন্য কোনটি ভালো। রাতে যখন হ্যাকিং এর কাজে বসতো তার মুডের সাথে ম্যাচ করে বাসার স্মার্টবাল্বসমূহ নিজের রঙ বদলে নিতো।
এখন এসব কিছুই নেই।
এরই মাঝে তাকে খুঁজে বের করে তাঁর দেশেরই গোয়েন্দা সংস্থা, সাইবারক্রিমিনাল ধরতে তাঁর সাহায্য দরকার।
সে আবার সব ফেলে চলে আসে আগে বাসায়, আবার স্মার্ট জীবন। সে নিজেও কাজের তাগিদে খুঁজে বের করে তাঁর অন্য এশিয়ান ফ্রেন্ডদের।
যার কেউ ডাক্তার, কেউ ডিজিটাল মার্কেটার, কেউ একাউন্টেন্ট, কেউ বা শিক্ষক, যে শিক্ষক একসময় নিজেই ক্লাশ পালানোতে রেকর্ড করেছিল।
তাঁরা সবাই জীবিকার তাগিদে আজ প্রফেশনাল, কিন্তু তাদের স্বপ্নগুলোও আজব।
কেউ গ্রীনল্যান্ডে গিয়ে নিস্তব্ধতা উপভোগ করবে ছোট্ট ঘরে https://goo.gl/YdFIkX এবং রাতের আকাশে সবুজ আলোর ঝলক তথা অরোরা দেখার জন্য টাকা জমাচ্ছে http://goo.gl/6CJGM4
কেউ জেট স্কি করে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিবে, এমন হাজারো স্বপ্ন একেকজনের চোখে।
তাঁরা ঘৃনা করে কর্পোরেট কালচারকে যা মানুষকে অমানুষ হতে শেখায়।
তাদের রগে রক্তের চাইতে জোরে প্রবাহিত হয় বাইনারী ডিজিট।
সারা পৃথিবী এই মানুষগুলোকে আইডল মেনে থাকতে পারে, কিন্তু তাঁরা সরলের চাইতেও সরল। তাঁরা গরল হয়েছে শুধু সরলতায় কেমন সুখ তাঁর পার্থক্য বোঝার জন্য। তাঁরা কেউ কাউকে দেখেনি, কিন্তু আত্মার টান তাদের এক করেছে।
শেষ জীবনে সকল আত্মা আবার এক হবে।
তার সাথে আমাদের একটু কথা হয় ম্যাসেজে তাতে জানা যায় ঃ 
এই লেখার সাথে তার জীবনের মিল আছে কিছুটা কিন্তু কোন টুকু মিল আছে তা জানা যাই নি ।

***********************************************************************

থাঙ্কস মিস্টার Rotating Rotor । এগিয়ে জান দেশের স্বার্থে ************************************************************************************


এতোক্ষনে হইত বুঝেই গেছেন কার কথা বলতে যাচ্ছি  হ্যাঁ Kazi Minher Mohsin Uddin বা Rotating Rotor যেই নামেই চিনে থাকুন না ক্যানো সে একজনই । BD GREY HATS এর Administrator ।  ২০১৫ সালের সর্বশেষ তথ্যমতে জোন-এইচের শীর্ষ ২০টির মধ্যে সাতটি বাংলাদেশী হ্যাকার টিম। তাদের মধ্যে সবার শীর্ষে বাংলাদেশ গ্রে হ্যাট হ্যাকারস এবং তিনি সুইস ব্যাংক-এর অ্যাকাউন্টও হ্যাক করেছিলেন।  ৮ সেপ্টেম্বর ২০১২,৪:২৩ মিনিটে এনোনিমাসের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে Rotating Rotor-এর নাম প্রকাশ করেন ।

আজ তিনি তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন । সেটাই দেখাবো ঃ

সাজানো গোছানো জীবন ছিল শুরু থেকেই। কিন্তু হ্যাকার হওয়ার পর থেকেই বাউন্ডূলে জীবনযাপনে অভ্যস্ত।
পৃথিবী দেখার শখ জাগলো একদিন, পিসির সামনে বসলেই শত শত ক্রেডিট কার্ড তার হাতে।
যখন মানুষ অর্থের পাহাড় বানানোর সুত্র খুঁজছে, ততদিনে সে পাহাড়ের চুড়োয়। কিন্তু সেই রাশিয়ান হ্যাকারের অর্থ প্রয়োজন ছিল না, তার প্রয়োজন ছিল শুধু এক বোতল ভদকা প্রতি রাতে, সেই এক বোতল ভদকা তার এবাদত।
বের হয়ে গেলো একদিন সাইবেরিয়া দেখতে, ঘুরতে।
যে অর্থ সবাই লুকিয়ে রাখে, সেই অর্থ আকাশে মেঘের মতো উড়িয়ে দিতে।
তার শেষ দেখা পাওয়া গিয়েছিল বেলারুশে, সেই সময়ে যখন স্ট্যালিনের কিছু স্থাপনা দেখতে গিয়ে প্রকৃতির সাথে ভালোবাসার বন্ধন আরও বেশী গাঢ় হয়।
রাশিয়া হতে ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ে চড়ে চলে যায় সাইবেরিয়া।
ট্রেন চলতে থাকে পাহাড়ের মাঝে, নদীর পাশে। ট্রেন হতে বসে বসে ছবি তুলে http://goo.gl/ldF9lj
বাতাসে বরফের গন্ধ, পাহাড়ের গন্ধ।
সেই মাটির গন্ধ, যে মাটি হতে সে এসেছে আবারো সেই মাটিতেই একদিন মিলিয়ে যাবে।
গন্তব্যে একটু ছুটি পেয়ে পাহাড়ে উঠে মোবাইলটা আবারো বের করে মিলিয়ে দেখার চেস্টা করে সেই ছবিটার সাথে যা সে গুগুল ম্যাপে সেভ করে রেখেছিল https://goo.gl/kC41sh
মুচকি হাসে নিজে নিজে, গুগল ম্যাপে যা দেখেছিল সেই স্থানেই সে দাঁড়িয়ে।
ঘরে থাকতে হাতে থাকতো স্মার্টওয়াচ, আই রোবট রুমবা নামের রোবট ভ্যাকিউম ক্লিনার নিজে নিজেই বাসা পরিস্কার করে দিতো, গুগল ফিট সবসময় তাকে জানিয়ে দিত তার শরীরের জন্য কোনটি ভালো। রাতে যখন হ্যাকিং এর কাজে বসতো তার মুডের সাথে ম্যাচ করে বাসার স্মার্টবাল্বসমূহ নিজের রঙ বদলে নিতো।
এখন এসব কিছুই নেই।
এরই মাঝে তাকে খুঁজে বের করে তাঁর দেশেরই গোয়েন্দা সংস্থা, সাইবারক্রিমিনাল ধরতে তাঁর সাহায্য দরকার।
সে আবার সব ফেলে চলে আসে আগে বাসায়, আবার স্মার্ট জীবন। সে নিজেও কাজের তাগিদে খুঁজে বের করে তাঁর অন্য এশিয়ান ফ্রেন্ডদের।
যার কেউ ডাক্তার, কেউ ডিজিটাল মার্কেটার, কেউ একাউন্টেন্ট, কেউ বা শিক্ষক, যে শিক্ষক একসময় নিজেই ক্লাশ পালানোতে রেকর্ড করেছিল।
তাঁরা সবাই জীবিকার তাগিদে আজ প্রফেশনাল, কিন্তু তাদের স্বপ্নগুলোও আজব।
কেউ গ্রীনল্যান্ডে গিয়ে নিস্তব্ধতা উপভোগ করবে ছোট্ট ঘরে https://goo.gl/YdFIkX এবং রাতের আকাশে সবুজ আলোর ঝলক তথা অরোরা দেখার জন্য টাকা জমাচ্ছে http://goo.gl/6CJGM4
কেউ জেট স্কি করে সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে পাল্লা দিবে, এমন হাজারো স্বপ্ন একেকজনের চোখে।
তাঁরা ঘৃনা করে কর্পোরেট কালচারকে যা মানুষকে অমানুষ হতে শেখায়।
তাদের রগে রক্তের চাইতে জোরে প্রবাহিত হয় বাইনারী ডিজিট।
সারা পৃথিবী এই মানুষগুলোকে আইডল মেনে থাকতে পারে, কিন্তু তাঁরা সরলের চাইতেও সরল। তাঁরা গরল হয়েছে শুধু সরলতায় কেমন সুখ তাঁর পার্থক্য বোঝার জন্য। তাঁরা কেউ কাউকে দেখেনি, কিন্তু আত্মার টান তাদের এক করেছে।
শেষ জীবনে সকল আত্মা আবার এক হবে।
তার সাথে আমাদের একটু কথা হয় ম্যাসেজে তাতে জানা যায় ঃ 
এই লেখার সাথে তার জীবনের মিল আছে কিছুটা কিন্তু কোন টুকু মিল আছে তা জানা যাই নি ।

***********************************************************************

থাঙ্কস মিস্টার Rotating Rotor । এগিয়ে জান দেশের স্বার্থে ************************************************************************************

Post a Comment

2 Comments